যশোরের চৌগাছায় স্কুলছাত্র রাতুল হত্যায় ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শ্বশুর অপমান করায় শ্যালক রাতুলকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ডিবি।
রাতুলের ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদকে শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
শিশির ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী মণ্ডলের ছেলে। শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় যশোর জেলা পুলিশ।
শিশিরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার জানান, শিশিরের শ্বশুর এক দিন নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে অপমান করেন। সেই রাগ থেকে তিনি শ্বশুরের একমাত্র ছেলে রাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১১ জুলাই রাতুলের বোনের মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে চৌগাছার লস্করপুরে নিয়ে যান শিশির। সেখানে রাতুলকে গাঁজা ও কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করেন তিনি। পরে রাতুলের নাক ও মুখে স্কচটেপ মুড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ডিবি কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরপরই শিশির গা ঢাকা দেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামের সিএমপি বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
তার দেয়া তথ্যে একইদিন রাতে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম, রাতুলের ব্যবহৃত মোবাইল ও পরিহিত পোশাক উদ্ধার করা হয়।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মো. মহিউদ্দীনের ছেলে রাতুল গত ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। পরদিন চৌগাছার লস্করপুরের শ্মশান মাঠের পাটক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ।
রাতুলের স্বজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ ও ছবি দেখে থানায় গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতুলের বাবা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা করেন।