বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে একে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে তিনি এ কথা জানান।
৩১ জানুয়ারি রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণে ২৪৮ জন অংশগ্রহণ করেন। ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে তারা শনিবার সমাপনী কুচকাওয়াজ করেন ও আনুষ্ঠানিক শপথ নেন।
কুচকাওয়াজ শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে সেরা সৈনিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
এরপর তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হাতে গড়া এই বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা দেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ বিভিন্ন অপরাধ সফলতার সঙ্গে দমন করছে।’
‘এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার পাশাপাশি সমগ্র জাতির শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআরের ৩য় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা স্মরণ করেন। তিনি নবীন সৈনিকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনসহ সুদৃঢ়, সুশৃঙ্খল, নির্লোভ, নির্ভীক ও সর্বোপরি উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার উপদেশ দেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট’ এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, সম্প্রতি এই বাহিনীতে অত্যাধুনিক অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে। বিজিবির প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চুয়াডাঙ্গাতে নতুন একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলমান।