যশোরের বেনাপোলে একটি বাজারে আগুন লেগে ১৪টি দোকান পুড়ে গেছে।
শার্শা উপজেলার বেনাপোল বাজারের চুড়িপট্টিতে শনিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে আগুন লাগে।
বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন দেবনাথ নিউজবাংলাকে জানান, সকাল সোয়া ৬টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতা করেন বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ সদস্যরা। তাদের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর মাঝেই ১৪টি দোকান পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে সাতটি কসমেটিকসের দোকান, একটি কাপড়ের দোকান, একটি বীজভান্ডার ও পাঁচটি মুদি দোকান রয়েছে।
ভোরে এ অগ্নিকাণ্ড হওয়ার কারণে অনেক দোকানদার ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। তবে কয়েকজন দোকানদার মালামাল বের করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ওপর জড়ো করেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কাপড় ব্যবসায়ী ও রজনী বীজভান্ডারের মালিক ছলেমান বলেন ‘আমার ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদবাজার ধরার জন্য নতুন কাপড় তুলেছিলাম দোকানে। ঢাকা থেকে নতুন মাল আনার জন্য দোকানে ৫ লাখ টাকা রেখেছিলাম, তাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
ব্যবসায়ী আবু রায়হান বলেন, ‘দোকানে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার কসমেটিকস পণ্য ছিল। ব্যাংকে আমার লোন (ঋণ) রয়েছে। কোথা থেকে কী করব, ভেবে পাচ্ছি না।’
বেনাপোল বাজার কমিটির সেক্রেটারি ও বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যন বজলুর রহমান বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অগ্নিকাণ্ডের জন্য। সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা বলেন, ‘কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না।’