ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও কোরবানির পশুবাহী অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ঢাকামুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা গেছে।
শনিবার ভোর রাত থেকে মহাসড়কের রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি মাঝেমধ্যে চললেও ঢাকামুখী গাড়ি আটকে রয়েছে।
এদিকে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে না পেরে শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।
যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরমভোগান্তি। এ ছাড়াও গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার দিকে আসা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
পাবনা থেকে গরু নিয়ে ঢাকায় আসছেন ট্রাকচালক লেবু মিয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রাবনা আসতে সর্বোচ্চ ৫০ মিনিট সময় লাগে। সেখানে আজকে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। সামনে আরও যানজট রয়েছে। কতক্ষণে ঢাকায় যেতে পারব তা-ও জানি না।’
রসুলপুর এলাকায় পিকআপচালক এরশাদ বলেন, ৭ কিলোমিটার আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে ৩ গুণের বেশি পরিবহন চলাচল করছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের অংশে মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজের কারণে সৃষ্টি হওয়া যানজট টাঙ্গাইল এসে থেমেছে। এতে যানবাহনগুলো সহজেই সেতু পার হতে পারছে না।
এদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এড়াতে সেতু কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রেখেছিল। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।