রাজধানীর প্রবেশমুখ সাভারের সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই সাভারের উত্তরবঙ্গ রুটের নবীনগর-চন্দ্রা, উত্তর-দক্ষিণবঙ্গ রুটের টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও দক্ষিণবঙ্গ রুটের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
সবচেয়ে ব্যস্ততম নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল ত্রিমোড় ছিল ফাঁকা। এমনকি সিগন্যালেও গাড়ির সারি দেখা যায়নি। খানাখন্দ আর পানি জমে থাকায় সার্বক্ষণিক যানজট লেগে থাকা টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কেও ছিল না যানবাহনের চাপ।
কোরবানির ঈদ ঘিরে বৃহস্পতিবার সরকার শাটডাউন শিথিল করে। এরপর থেকেই সাভারের সবগুলো সড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় ও পশুবাহী গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। তীব্র যানজটে স্থবিরতা আসে সাভারের সড়কে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। তীব্র গরমে ট্রাকে মারাও যায় কোরবানির পশু।
মূলত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই সাভারের সড়কগুলোতে যানজট শুরু হয়। ভোর থেকে সাভারে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর থেকে বাড়াইপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থেকে নবীনগর পর্যন্ত আরিচামুখী লেনে ৮ কিলোমিটার ও গেন্ডা থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এবং টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে আশুলিয়া বাজার থেকে ধউর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ও জিরাব থেকে বাইপাইল পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কে যানজট ছিল। পরে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহনের চাপ কমতে থাকে।
বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর খসরু পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতের বেলা কখন থেকে যানজট নাই তা বলতে পারব না। এখন সড়ক একেবারেই স্বাভাবিক আছে। ট্রাফিক পুলিশের ডেপ্লয় ছিল টুয়েন্টিফোর আওয়ারস। এই সময়ের মধ্যে এক মিনিটের জন্যও পুলিশ রাস্তা থেকে সরেনি।’