বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২১ ০১:২৩

শেরপুর সদর উপজেলার এক কৃষক পরিবারের ওই শিশুটিকে দুই বখাটে ফোরকান আলী ও শাহীন মিয়া  মাঝে মধ্যেই উত্যক্ত করত। ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার সময় মেয়েটি তার চাচার টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে সেখান থেকে ওই দুই বখাটে শিশুটিকে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে।

শেরপুরের প্রত্যন্ত পল্লীতে ১২ বছর বয়সী একটি শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

শিশুটি স্থানীয় এক মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা শিশু স্থানীয় হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে।শেরপুর সদর উপজেলার এক কৃষক পরিবারের ওই শিশুটিকে দুই বখাটে ফোরকান আলী ও শাহীন মিয়া মাঝে মধ্যেই উত্যক্ত করত। ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার সময় মেয়েটি তার চাচার টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে সেখান থেকে ওই দুই বখাটে শিশুটিকে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে।শিশুটি ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয় তার পরিবারের লোকজন। রাত অনুমান ১টার সময় শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় অন্ধকারে পথ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষক ইমরান মিয়ার বাড়ির গোয়ালঘরে আশ্রয় নেয়।কৃষক ইমরান আলী জানান, ‘আমি রাতে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি মশারির নিচে ওই মেয়েটি উবুদ অইয়ে বইসা আছে। আমি তার সারা শরীলে পেক দেইখা ডরাই গেছিলামগা। পরে মেয়েডারে ওগোরে বাড়িত আইত দুডের সোম দিয়াইছি।’ ফোরকান আলী দুই বছর আগে এসএসসি পাস করে ঢাকায় তারা ভায়ের মোবাইলের দোকানে কাজ করে। অপর অভিযুক্ত শাহীন এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘটনার পর প্রথমে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার খবর দেয়া হয় পুলিশকে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহাম্মেদ ও তদন্ত কর্মকর্তা সুমনসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশে খবর দেয়ার আগ পর্যন্ত ধর্ষকরা এলাকায় থাকলেও পুলিশ আসার খবরে গা ঢাকা দেয়।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহাম্মেদ জানান, শিশুর বাবা শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফোরকান ও শাহীন মিয়ার নামে মামলা করেছেন।এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর