বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিক্রি করা শিশু মায়ের কোলে

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:৩৩

‘দিন মজুর স্বামী শাহ আলমের কামাইরোজগারে পাঁচজনের সংসার চলে না। করোনায় কয়েক মাস ধরে শাহ আলম বেকার। সংসারে ধারও হয়েছে অনেক। পাওনাদারেরা প্রতিদিনই তাগাদা দেয়। এরই মধ্যে স্বামী শাহ আলম গাঁজায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় পাওনা টাকা পরিশোধ এবং সংসারের অনটনের কারণে তিন মাস বয়সী আলহাজকে বাইশকাইল গৈজারপাড়া গ্রামের সবুজ মিয়া ও স্বপ্না দম্পতির কাছে গত ১৬ দিন আগে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেই।’

জেলার গোপালপুর উপজেলায় অভাবের তাড়নায় এক দম্পতি মাত্র ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন তাদের তিন মাস বয়সী শিশুপুত্রকে।

খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন শুক্রবার এক অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোল ফিরিয়ে দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ওই দিনমজুর দম্পতির তিন ছেলে।

সন্তানের মা বলেন, ‘দিনমজুর স্বামীর কামাইরোজগারে পাঁচজনের সংসার চলে না। করোনায় কয়েক মাস ধরে স্বামী বেকার। সংসারে ধারও হয়েছে অনেক। পাওনাদারেরা প্রতিদিনই তাগাদা দেয়। এরই মধ্যে স্বামী গাঁজায় আসক্ত হয়ে পড়েন।’

‘এ অবস্থায় পাওনা টাকা পরিশোধ এবং সংসারের অনটনের কারণে তিন মাস বয়সী ছেলেকে বাইশকাইল গৈজারপাড়া গ্রামের সবুজ মিয়া ও স্বপ্না দম্পতির কাছে গত ১৬ দিন আগে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেই।’

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সবুজ ও স্বপ্না দম্পতি নিঃসন্তান। তারা ওই শিশুর মা-বাবার অনটনের সুযোগ নিয়ে টাকার বিনিময়ে শিশুটি কিনে নেন।’

‘আদালতের অনুমতি নিয়ে দত্তক নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা সেটি করেননি। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসন সবুজ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে পৌঁছে দেয়। কেউ আগ্রহ প্রকাশ না করায় এবং মানবিক দিক বিবেচনায় থানায় কোনো মামলা নেয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক জানান, ‘ঘটনাটির নেপথ্যে রয়েছে দারিদ্র। পরিবারটিকে সার্বিকভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। শিশুটির মাকে পৌর শহরে নুরুল ইসলামের ক্লিনিকে আয়া পদে চাকরির ব্যবস্থা করাসহ নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, ‘ওই শিশুর যাবতীয় ভরনপোষণ ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবে জেলা প্রশাসন।’

এ বিভাগের আরো খবর