কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ পাহারায় জুমার নামাজ হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাপদুর বড় জামে মসজিদে নামাজের আগেই বাইরে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদকে মানছে না স্থানীয় একটি পক্ষ। এ নিয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ আলীর সঙ্গে ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের পক্ষের বিরোধ চলে আসছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে এ নিয়ে উত্তেজনা শুরু হলে থানায় দুই পক্ষই মীমাংসার জন্য বসে। এরপরও সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় জুমার নামাজের আগে সেখানে ১২ জন পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে অবশ্য কোনো ঝামেলা ছাড়াই নামাজ হয়েছে।
এ নিয়ে এক পক্ষের নেতা মোহাম্মদ আলী মাস্টার বলেন, ‘মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন এখানে দায়িত্বে আছেন। সম্প্রতি তিনি নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় কিছুদিন আগে উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষরা ব্যক্তিগত স্বার্থে আজাদকে বহাল রেখে ঝামেলা সৃষ্টি করছে।’
অন্য পক্ষের সবুজ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন মসজিদে কোনো কমিটি নেই। প্রতিপক্ষরা জমিদাতা দাবি করে মসজিদ পরিচালনা করে আসছিল। মসজিদের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব না থাকায় গত শুক্রবার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সভাপতি আমাদের পক্ষের হওয়ায় ইমাম নিয়ে ঝামেলা করছে।’