বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিথিল লকডাউনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির চাপ

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২১ ১৬:৫৯

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের চাপ দুটি মহাসড়কে এখনো অতটা বাড়েনি। তবে অনেক দিন বন্ধ থাকার পর যানবাহন সড়কে নামায় গাড়ির চাপ বেড়েছে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শিথিল হয়েছে ঈদের কারণে। রাজধানী থেকে ছাড়তে শুরু করেছে গণপরিবহনসহ যানবাহনগুলো। কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। তাই মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। তবে গণপরিবহগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, খণ্ড খণ্ড যানজট। বিভিন্ন স্থানে সকালে যাত্রী উপস্থিতি বেশি থাকলেও বেলা বাড়তেই তা কমে যায়। তবে বেলা ১টা পর্যন্ত সাইনবোর্ড, শিমরাইল রূপসী, মদনপুর, মুগরাপাড়া এলাকায় গাড়ির চাপ ছিল। যাত্রী সংগ্রহে অপেক্ষমাণ পরিবহনের কারণে কোথাও কোথাও তৈরি হয় যানজট।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজায় গাড়ির চাপ বেশি থাকায় সেখানে সৃষ্টি হয় যানজট। উভয় দিকে থেমে থেমে চলেছে যানবাহন।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের চাপ দুটি মহাসড়কে এখনো অতটা বাড়েনি। তবে অনেক দিন বন্ধ থাকার পর যানবাহন সড়কে নামায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের অংশে যানজট নেই। তবে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় উভয় দিকে কিছুটা যানজট রয়েছে।’

রাজধানীমুখী মানুষের চলাচল ছিল দিনভর। মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় কিছুক্ষণ পরপর সৃষ্টি হয়েছে যানজট। বৃহস্পতিবার রাতেও এই এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত যানজট ছিল। সড়কে বেড়েছে পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস ও গরুর ট্রাক।

নজরুল ইসলাম নামে একজন বাবুর্চি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কাজ ছিল না। তাই অনেক দিন পর আজ কাজে যাচ্ছি রাজধানীতে।’

মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় হাসান মাহমুদ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করায় শুক্রবার স্ত্রী-সন্তানকে ফেনীতে পাঠানোর জন্য বাসের টিকিট কিনলাম। আগামীকাল তারা বাড়িতে যাবে। তবে আমি ঢাকায়ই থাকছি। কারণ বাড়ি গেলে ঈদের পরের লকডাউনে ফিরে আসা কষ্ট হয়ে যাবে।’

সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে যানজট নেই। তবে সাইনবোর্ড এলাকায় চারদিকের গাড়ি সিগন্যালে থামাতে হয়। এ ছাড়া রাস্তায় ফুটওভার ব্রিজের কাজ চলছে। সবকিছু মিলিয়ে এখানে গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মহাসড়ক ফাঁকা রাখতে, যাতে করে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারেন। একই সঙ্গে গরুর ট্রাকের কারণে যাতে যানজট না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েও আমরা কাজ করছি।’

তবে আগামী দুই দিনে ঈদের কারণে ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর