আঁকাবাঁকা সড়কটি খানাখন্দে ভরা, বৃষ্টি হলেই তা যেন ডোবায় পরিণত হয়। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার এই সড়কটিতে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি ১৫ বছরেও। বেহাল সড়কে ভোগান্তিতে অন্তত ১০ হাজার মানুষের।
কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুংয়ের কালারমার মসজিদের দক্ষিণ পাশের মিয়াজিরপাড়া বেড়িবাঁধসংলগ্ন মিয়ারাকাটা সড়ক। এই সড়কের ৩ কিলোমিটার অংশ নিতান্তই নাজুক। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি অগণিত খানাখন্দে ভরে গেছে।
মাটির সঙ্গে প্রায় মিশে যাওয়া সড়কে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। পানি নেমে গেলে কর্দমাক্ত সড়ক হয়ে ওঠে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। দেশব্যাপী গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কুতুবদিয়ার এ সড়কটি পড়ে আছে চরম অবহেলায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পানি জমে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এমনকি হেঁটে যাওয়ার উপায় থাকে না। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে এ পথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে পড়ে কঠিন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় রীতিমতো অকেজো হয়ে পড়েছে। এই সড়কেই ঝুঁকি নিয়ে চলে ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন গাড়ি। টেম্পো, অটোরিকশা উল্টে যায় মাঝে মাঝে। ছেলেমেয়েরা স্কুল-মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
আরেক বাসিন্দা হাসান মাহমুদ সুজন জানান, সড়কটি বেশি ব্যবহার হয় বেড়িবাঁধের পাশে থাকা ব্যবসা কেন্দ্রের জন্য। সেখানে কয়েক শ ফিশিং ব্যবসায়ীর মালামাল বহন করা হয় এ পথে। চলাচলের অনুপযোগী সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে উদাসীন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ স ম শাহারিয়ার চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পল্লি সড়কের মধ্যে রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ এইচভিভি সলিং করা আছে। কয়েক বছর ধরে সাগরের পানি প্রবেশ করায় তার বেশ কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি জানান, নতুন দুটি প্রকল্পে সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবে এই সড়কের নাম রয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে আজম সড়ক থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা ১০ ফুট চওড়া হবে। সেখানে আরসিসি ঢালাই করা করা হবে।