বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিক শামছুর রহমান হত্যার ২১ বছর, তদন্তেই আটকে বিচার

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২১ ১১:০৯

শামছুর রহমানের ছোট ভাই সাজেদ রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে)।

যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমানের হত্যার বিচার ২১ বছরেও শেষ হয়নি। বিচারকাজ শেষ করতে পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার দাবি তোলা হলেও তা পুনরায় আর শুরু হয়নি।

শামছুর রহমানের ছোট ভাই সাজেদ রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে)।

১৬ জুলাই হক্যাকাণ্ডের ২১ বছর হলো। শামছুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জেইউজে কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র‍্যালি, শহীদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

আদালত সূত্র জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে সাংবাদিক শামছুর রহমান খুন হন। ২০০১ সালে সিআইডি এই মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। সে সময় বিগত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক আসামির আগ্রহে মামলার বর্ধিত তদন্ত করে শামছুর রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু সাংবাদিক নেতা ফারাজী আজমল হোসেনকে নতুন আসামি করা হয়।

সেই সঙ্গে মামলার আগের স্বাক্ষীদের বাদ দিয়ে নতুন করে আসামিদের ঘনিষ্টজনদের স্বাক্ষী করা হয়। ফলে মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

বর্ধিত তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর ২০০৫ সালের জুন মাসে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলার চার্জ গঠন হয়। ওই বছরের জুলাই মাসে বাদীর মতামত ছাড়াই মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এ অবস্থায় মামলার বাদী শহীদ শামছুর রহমানের স্ত্রী সেলিনা আকতার লাকি বিচারিক আদালত পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে আপিল করেন।আপিল আবেদনে সেলিনা আকতার লাকি লেখেন, মামলার অন্যতম আসামি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিরক পলাতক রয়েছে। হিরকসহ সংশ্লিষ্ট মামলার অন্যান্য আসামিদের সাথে খুলনার সন্ত্রাসীদের সখ্য রয়েছে। ফলে তার (বাদীর) পক্ষে খুলনায় গিয়ে সাক্ষী দেয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

বাদীর এই আপিল আবেদনের ফলে হাইকোর্ট মামলাটি কেন যশোরে ফিরিয়ে দেয়া হবে না তার জন্য সরকারকে রুলনিশি জারি করে।এরপর মামলায় বর্ধিত তদন্তে নতুন আসামি ফারাজী আজমল হোসেন উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশের কারণে শামছুর রহমান হত্যা মামলার বিচারকাজ বন্ধ হয়ে আছে উল্লেখ করে যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী জানান, তাদেরও প্রত্যাশা আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে মামলার কার্যক্রম আবার শুরু হবে।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মুশফিকুর রহমান হিরক পুলিশের খাতায় পলাতক রয়েছেন। আরেক আসামি খুলনার ওয়ার্ড কমিশনার আসাদুজ্জামান লিটু র‍্যাবের ক্রসফায়ারে, কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন কালু স্ট্রোকে এবং যশোর সদরের চুড়ামনকাটির আনারুল প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন। বাকী আসামিরা জামিনে রয়েছেন।এদিকে দীর্ঘদিনেও হত্যা মামলাটির বিচার না হওয়ায় নিহতের পরিবার ও সাংবাদিক নতোদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর নিহতের পরিবার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় পুরনো বিতর্কিত তদন্ত বাতিল করে মামলাটি পুনঃতদন্তের।

এ বিভাগের আরো খবর