বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই সিটে যাত্রী নিলেও ভাড়া দ্বিগুণ

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২১ ০২:০০

‘আমি রংপুর যাব। দুই সিটের জন্য ২ হাজার ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে টিকেট কাটছি। আমার পাশের সিট খালি থাকার কথা থাকলেও সেখানে যাত্রী বসানো হয়েছে। তার কাছ থেকেও ডাবল ভাড়াই নিছে।’

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। গণপরিবহন ছেড়ে দেয়া হলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও দুই সিটে একজন যাত্রী নেয়ার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে।

তবে বৃহস্পতিবার লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনেই রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের অধিকাংশ বাস কাউন্টারে এসব বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি। দুই সিটেই যাত্রী নেয়ার পাশাপাশি সবার কাছ থেকে ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ।

এক বাসের টিকিট কাটলেও অন্য বাসের তুলে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয়েছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা।

তবে পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতেই অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছেন তারা। আর যাত্রী নামার পর খালি বাস ফেরত আসবে, এ জন্য সবার কাছ থেকে ডাবল সিটের ভাড়া নেয়া হচ্ছে।

আর পুলিশের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় অনেক বাসের বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরপরই সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। দুই সিটেই যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কাউন্টারগুলোতেও যাত্রীদের গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা যায়। বাস দেখলেই দলবেঁধে যাত্রীরা উঠে পড়ায় উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি।

আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় থেকে রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ৪০ সিটেই যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে।

মোহাম্মদ মোক্তার নামে এক যাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি রংপুর যাব। দুই সিটের জন্য ২ হাজার ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে টিকেট কাটছি। আমার পাশের সিট খালি থাকার কথা থাকলেও সেখানে যাত্রী বসানো হয়েছে।

‘তার কাছ থেকেও ডাবল ভাড়াই নিছে। কাউন্টারের লোকজন স্বাস্থ্যবিধির নামে ভাড়াও ডাবল নিচ্ছে আবার যাত্রীও নিচ্ছে। কিছুই করার নাই, ঈদে বাড়িতে তো যাইতে হবে।’

সজল মিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমার কাছে দুই সিটের ভাড়া নিছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। যে বাসে যাওয়ার কথা এখন আরেকটা বাসে তুলে দিছে। আবার পাশের সিট খালি থাকার কথা থাকলেও সেখানে যাত্রী নিছে। এখন গাদাগাদি করেই যাইতে হচ্ছে। কী করব?’

শ্যামলি কাউন্টারের মো. হাসান নামে এক কর্মচারি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘রাস্তায় যত গাড়ি চলতাছে সবাই তো ডাবল ভাড়াই নিতাছে। সব গাড়িতেই যাত্রী ডাবল নিতাছে।’

নাবিল পরিবহনের জোবায়ের আহমেদ নামের এক যাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ৮টায় গাড়ি আসার কথা এখন ১১টা বাজে, গাড়ির খবর নাই। আমি একাই যাচ্ছি। কিন্তু ভাড়া দিছি দুই সিটে ২৬০০ টাকা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাবিল পরিবহনের কাউন্টারের এক কর্মী গাড়ি দেরি হওয়ার কথা জানালেও অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আইজকা রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি। গরুর ট্রাকের কারণে জাম (যানজট) বাজছে। এই জন্য গাড়ি আইতে লেট হইতাছে।’

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগ) আব্দুল্লাহ হিল কাফী নিউজবাংলাকে জানান, সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় যানজট হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে ব্যস্ত। এরপরও যদি কোনো নির্দিষ্ট পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্টরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় অনেক বাসের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর