একদিকে করোনার থাবা অন্যদিকে সাগরে মাছের দেখা মিলছে না। সব মিলে মহা সংকটে দিন কাটছে মান্তা সম্প্রদায়ের লোকজনের।
এর মধ্যেই এসেছে ঈদ। এই উৎসবে তাদের সামিল করতে এগিয়ে এসেছে উত্তরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
শতাধিক মান্তা পরিবারকে শাড়ি ও লুঙ্গি দিয়েছেন তিনি।
উপহার সামগ্রী পেয়ে জেলে রেবেকা বেগম বলেন, ‘নদীতে মাছ ধইরা জীবন চলে। ঘর বাড়ী বলতে কিছুই নাই। বাপদাদার আমল অইতে নৌকায় বাস কইরা আইছি। এই সময়ে নদীতে মাছ ধরা নিষেধ। হ্যারমধ্যে আবার লকডাউন না কি দিছে। অল্পস্বল্প মাছ পাইলেও বেইচ্চা ভালো দামও পাইনা।’
আরেক জেলে সুমন মিয়া বলেন, ‘এ অবস্থায় এবারের ঈদ নিয়ে হতাশায় ছিলাম। কিন্তু পুলিশ স্যারেগো এই উপহার পাইয়া মনডা ভইরা গেছে।’
রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইসের খালে ভেসে চলা শতাধিক মান্তা পরিবারের ৪০০ সদস্যের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান, চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া, রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি জাবির হোসেন ও চরমোন্তাজ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘সমাজের পিছিয়ে পড়া এই সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে পুলিশ সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে। উত্তরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আমরা পটুয়াখালীর পুলিশ তাদের পাশে যখন যেভাবে পেরেছি থাকার চেষ্টা করেছি। আগামীতে এ কার্যক্রম অব্যাহত।’
এর আগে, ওই সম্প্রদায়ের শতাধিক পরিবারের মাঝে মিনিকেট চাল, পোলাও চাল, সেমাই, চিনি, গুঁড়া দুধ, ভোজ্য তেল ও সাবান বিতরণ করেন ডিআইজি হাবিবুর।