লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
করাইতলা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরলরেন্স ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা করেন চেয়ারম্যান হিরন।
মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
রামগতি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন, কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী দ্রুত যুবলীগ নেতা হিরণের মুক্তি দাবি করেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় হিরনকে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদে ভোট চলাকালে কমলনগর উপজেলার উত্তর চরপাগলা সরকারি বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।
এ সময় তোরাবগঞ্জ বাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুকের গাড়িসহ ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ২৩জুন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চরলরেন্স ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন, তোরাবগঞ্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমদ রতন,যুবলীগ নেতা রাকিবুল হাসান বিপ্লব, ইউপি সদস্য আবদুল মতিন, নাছির উদ্দিন ও ইছমাইল হোসেনসহ ৫৪জনের নামে এবং ১৮০জনকে অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করে মামলা হয়। ফারুকের গাড়ি চালক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে কমলনগর থানায় এ মামলা করেন।