চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কুতুব উদ্দিন বিপুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতে জীবননগর থানায় বিপুলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শিশুটির বড় বোন। রাতেই উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ধর্ষণের ফলে শিশুটি এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এজাহারে বলা হয়, ওই স্কুলছাত্রী জন্মের কিছু দিন পরই তার বাবার মৃত্যু হয়। এ কারণে তাদের সংসারে শুরু থেকেই ছিল অভাব-অনটন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় সে স্থানীয় একজনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। সাত মাস আগে বাড়ির পাশের মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গেলে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বিপুল।
মামলায় আরও বলা হয়, শিশুটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে জানালে ঘটনা জানাজানি হয়। প্রথমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে বিচারের দেয়ার আশ্বাস দেন গ্রাম্য মাতবররা। তবে ৭ মাস পরও তারা কোনো বিচার করেননি।
স্কুলছাত্রীর বড় বোন জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে তার ছোট বোন এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিপুলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের মাতবররা আশ্বাস দিয়েও কোনো বিচার করেননি। এ কারণে বাধ্য হয়ে তারা মামলা করেছেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, মামলা হওয়ার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।