দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শিথিল হওয়ার প্রথম দিনই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ‘প্রবেশদ্বার’ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। পার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল তিন শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্রাক। ফেরির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরই পার হতে পারছে গাড়িগুলো।
টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার গণপরিবহন চলাচলের প্রথম দিনে দৌলতদিয়া ঘাটেও রয়েছে যানবাহনের চাপ। তবে এ ঘাটে অধিকাংশই কোরবানির পশুবাহী ট্রাক। যাত্রীবাহী যানের সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) থেকে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি দিয়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী যান পারাপার করা হচ্ছে। সকালে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও দুপুরের পর চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে অবশ্য হাটফেরত ট্রাকের চাপ বেশি। এ কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী ও জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন আগে পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, কঠোর লকডাউন শিথিল এবং গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কয়েকদিন পরই কোরবানির ঈদ হওয়ায়ও অনেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে চাপ কিছুটা কম থাকলেও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কোরবানির পশুবাহী অনেক ট্রাক। অন্য যানের চাপ বাড়ায় পশুবাহী ট্রাক পার হচ্ছে দেরিতে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, কঠোর লকডাউনের কারণে দীর্ঘ দিন গণপরিবহন বন্ধ ছিল। লকডাউন শিথিল হওয়াতে মানুষ যাতায়াত করছে। যার কারণে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আশা করি ঘাট এলাকায় যাত্রীদের খুব একটা ভোগান্তি পোহাতে হবে না।’
তিনি জানান, ঘাট এলাকায় প্রায় ১০০ যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং দুই শতাধিক ট্রাক পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাকের মধ্যে হাটফেরত ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।