গাজীপুরের কালীগঞ্জে এনামুল হক নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় বিরোধে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা স্বজনদের। তবে ঘটনার ব্যাপারে মামলা হয়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, 'এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
নিহত এনামুলের বাড়ি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নারগানা গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ির কাছেই হামলার শিকার হন তিনি। পরে বুধবার রাত পৌনে ৯টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান খাঁন ফারুক মাস্টার পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন কেন্দ্রিক বিরোধ বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে এনামুল কর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেই বিরোধের জেরে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এনামুল বাড়ি থেকে বের হলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে। ঢাকাতেই বুধবার রাত পৌনে ৯টায় মারা যান এনামুল।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু বকর চৌধুরী বলেন, 'পুরনো বিরোধের জেরেই হামালার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান খাইরুল আলম বলেন, ‘এনামুলের উপর হামলার ঘটনায় আমার সমর্থকদের কেউ জড়িত নন। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।'