ঈদ উপলক্ষে শাটডাউন শিথিলের প্রথম দিন চাঁদপুর থেকে অধিকাংশ লঞ্চকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত আটটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপও কমে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকা থেকে চাঁদপুর এসেছে দুটি লঞ্চ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও এই দুই লঞ্চে ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি যাত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক জেলা বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এখন ঘাটে বাড়িফেরত মানুষের ভিড় বেশি। ঢাকায় যাওয়ার যাত্রীসংখ্যা তুলনামূলক কম।
তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। লঞ্চগুলোতে অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে যাত্রীদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সকাল থেকেই ঘাটে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।
বরিশালের লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীর খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি। সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে।
অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ এমভি ঈগলের মাস্টার হারুন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আমরা লঞ্চে যাত্রী উঠিয়েছি। চারজনের সিটে দুই প্রান্তে দুজনকে বসিয়েছি। এমনিতেই আজকে যাত্রীর সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’
বরিশাল থেকে ভোলাগামী আলেয়া বেগম জানান, লঞ্চে ওঠার আগেই তাদের মাস্ক পরতে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষই সবার হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করেছে।
ঘাটে সরকারি বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কি না তা তদারকি করতে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। তাই সকাল থেকেই লঞ্চ ধোয়ামোছার কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে শ্রমিকদের।