কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্টসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএন।
উপজেলার উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইসি অফিসে পাসপোর্ট ও এনআইডির মূল কপিসহ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা যুবককে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উনচিপ্রাং ২২ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মো. তৈয়ব অবৈধভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন এমন তথ্য পাই। পরে বুধবার বিকেলে ২২ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লক থেকে তাকে আটক করা হয়।’
তিনি জানান, এ সময় তল্লাশি করে তার মোবাইলে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও এনআইডির ছবি পাওয়া যায় (যার পাসপোর্ট নম্বর-BJ053 6724, এনআইডি নম্বর-3302548353)।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিআইসির কাছে নিয়ে গেলে তিনি অভিযুক্তকে হেড মাঝির জিম্মায় ছেড়ে দেন। এ সময় পাসপোর্ট ও এনআইডির মূল কপিসহ বৃহস্পতিবার সিআইসি অফিসে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পর্যন্ত তৈরি করে দিচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এসব অসাধু ব্যক্তিদের আইনে আওতায় আনা দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এদিকে টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ককটেল তৈরির সময় দুই সহোদর রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম।
টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ককটেল তৈরির সময় দুই সহোদর রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন। ছবি: নিউজবাংলা
তারা হলেন, মো. শাহীন ও মো. সাহেদ। তারা উখিয়া বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের মৃত নুর হোসেনের দুই ছেলে।
এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ নম্বর ক্যাম্পের শামলাপুর এ/৪ ব্লকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে চাকু, লাল স্কচটেপ, কাঁচি, রেক্সিন ও ৯টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।