নওগাঁর বদলগাছীতে এক গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজিহাট থেকে বুধবার সন্ধ্যার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মকছেদ আলী। তিনি নিহত ব্যক্তির ব্যবসার সাবেক অংশীদার।
আর নিহত ব্যক্তির নাম মজিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ভোলার পালশা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে মজিদুল ইসলাম ও মকছেদ আলী যৌথভাবে গরুর ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে দুই বছর আগে মজিদুল ইসলাম আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন। দুই মাস আগে ব্যবসার হিসাব নিয়ে ভান্ডারপুর বাজারে দু’জনের কথা কাটাকাটি হয়।
মঙ্গলবার মজিদুল ইসলাম কোলা হাটে দুটি গরু ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ভান্ডারপুর বাজারের উদ্দেশ্য রওনা দেন। পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মুক্তির মোড়ে এলাকায় মকছেদ আলীসহ তিনজন মজিদুলের পথরোধ করে তার চোখ গামছা দিয়ে বেধে মরিচ ক্ষেতে নিয়ে যায়।
সেখানে মজিদুল ইসলামকে ধারালো চাকু দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করে না পেয়ে সকালে থানায় অভিযোগ করার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু তার আগেই ভোর চারটার দিকে মজিদুল ইসলাম জ্ঞান ফিরলে আহত অবস্থায় বাড়িতে ফিরেন।
সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনিত হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বিকেল ৪ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মজিদুল ইসলামের ছেলে মিঠুন হোসেন জানান, গরু ব্যবসার টাকা নিয়ে বাবার সঙ্গে মকছেদ আলীর বিরোধ চলছিল। এর জেরে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত গরু ব্যবসায়ী মজিদুল ইসলামের ছেলে মিঠুন হোসেন বাদি হয়ে মকছেদ আলীসহ তিনজনের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। বিকেলে মজিদুল ইসলাম মারা যাওয়ায় সেই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ মামলার প্রধান আসামি মকছেদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত আছে।