ঠাকুরগাঁওয়ে তরুণীকে ধর্ষণ মামলা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে আসামিকে গ্রেপ্তার করে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ওই ব্যক্তি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকুরি করত। বাদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়া এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তিনি ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও রেকর্ড করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেইসব ভিডিও, ছবি ও কথোপকথন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন আসামি।
এ ছাড়া হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছ থেকে তিনি ৬টি ফাঁকা চেকের পাতায় সই নেন এবং একটি মোবাইল ব্যাংকিং-এর অ্যাকাউন্ট সম্বলিত সিম কার্ড নেন।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে সই করা ফাঁকা ৭টি চেকের পাতা, ২টি ফায়ার সার্ভিসের ড্রেস, ৩টা মোবাইল ফোন, ১টা ডায়েরি, ৩টা চেকবই এবং ২টা পেনড্রাইভ জব্দ করে পুলিশ।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেন সেই তরুণী।
ওসি আরও বলেন, মানুষকে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করত আসামি।
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহাবুব তালুকদার বলেন, চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ তাকে চাকুরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।