কুড়িগ্রাম সদরে প্রতিবেশীর লাঠির আঘাত থেকে মাকে বাঁচাতে দিয়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে বুধবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান ১৮ বছর বয়সী জাহিদ হাসান।
এর আগে, সকাল ৭টার দিকে জাহিদের মা ও উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর এলাকার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ছলিমা বেগমকে রাস্তায় ফেলে পেটায় প্রতিবেশী কাজল খান কাশেম।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, নারী কাউন্সিলর ছলিমা বেগমের কাছে সকালে এক মা ও তার মেয়ে ত্রাণের জন্য আসে। এ সময় ত্রাণের তালিকা নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় ছলিমার সঙ্গে ওই দুই নারীর কথা কাটাকাটি হয়। এই রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী কাজল খান কাশেমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল ছলিমার।
চিৎকার শুনে কাশেম বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি ইউক্যালিপ্টাস গাছের ডাল ভেঙে ছলিমাকে পেটাতে থাকেন। মাটিতে পরে গেলে জাহিদ মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় জাহিদের মাথায় ও চোখের ওপরের টিউমারে আঘাত লাগে ও তা ফেঁটে যায়। পরে ছলিমা ও জাহিদকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সকাল ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালে জাহিদ মারা যায়।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পুলক কুমার সরকার জানান, জাহিদ হেমানজিওমা নামের বিরল রক্তনালির টিউমার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। টিউমারে আঘাত লাগায় অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে জাহিদের মৃত্যু হয়। জাহিদ শারীরিক প্রতিবন্ধীও ছিলেন।
ওসি শাহরিয়ার জানান, ঘটনার পর পরই কাশেমকে আটক করা হয়েছে। তিনি পুলিশি হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।