আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট নগরীতে বসবে তিনটি পশুর হাট।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) থেকে আটটি পশুর হাটের অনুমতি দেয়া হলেও জেলা প্রশাসন থেকে তিনটি হাট বসানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অনুমতি পাওয়া হাটগুলো বসবে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ট্রাক টার্মিনাল মাঠ, নগরীর মাছিমপুর এলাকার কয়েদির মাঠ ও শাহী ঈদগাহ এলাকার কালাপাথর মাঠে।
নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়ার পর বুধবারই পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। বৃহস্পতিবার দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে দুই-তিন দিন লাগবে। এরপরই অনুমোদিত তিনটি জায়গায় বসবে পশর হাট।’
তিনি জানান, অনুমোদন চাওয়া বাকি হাটগুলো নগরীর ঝালোপাড়া স্কুল মাঠ, রিকাবীবাজার যাত্রী ছাউনির পাশে, টিলাঘর পয়েন্টের খালি জায়গা, আম্বরখানা আবাসন সংলগ্ন মাঠ, মদিনামার্কেট ও চৌকিদেখির সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বসার অনুমোতি দেয়া হয়েছিল।
করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে আটটির পরিবর্তে তিনটি পশুর হাট বসানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান সিসিকের এই কর্মকর্তা।
এদিকে, কোরবানি ঈদ ও পশুর হাট নিয়ে ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। হাট ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনাগুলো পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার সরকারি এক তথ্যবিরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় রয়েছে- ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে।
হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমন পথ আলাদা করতে হবে।
হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে পশু ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।
বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তরণে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে।
অনলাইনে পশু বেচাকেনায় মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে পশু বেচাকেনার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারাদেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট যুক্ত করা হয়েছে।
যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো, প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে।
পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।