কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আট দিনের জন্য শিথিল হচ্ছে চলমান শাটডাউন। এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের মতো চালু হচ্ছে ট্রেন।সারা দেশের মতো সিলেট থেকেও বৃহস্পতিবার শুরু হবে ট্রেন চলাচল। এ জন্য পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে রেলওয়ে স্টেশন।
আজ থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এবার কেবল অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে টিকিট। স্টেশনের কাউন্টারে কোনো টিকিট মিলছে না।
বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় স্টেশন একেবারে ফাঁকা। যাত্রীদের কোনো ভিড় নেই। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টারও। একই চিত্র ছিল রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বেশির ভাগ রেলওয়ে স্টেশনের।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বলেন, ‘ট্রেন চালুর ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। রেলস্টেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।’
‘করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেট থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে দুটি ঢাকায় ও একটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাবে। এক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। যাত্রীদেরও মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে উঠতে হবে। এ ছাড়া প্ল্যাটফরমে যাত্রীদের হাত ধোয়ার জন্য জীবাণুনাশক পানি থাকবে।
তিনি বলেন, ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার সুযোগ দিতে ট্রেন চালু করা হয়েছে। তবে এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কাউন্টারে কোনো টিকিট মিলবে না। ভিড় এড়াতেই এ কাজ করা হয়েছে। ফলে কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে।
শিথিল শাটডাউনের সময় ট্রেন কীভাবে চলবে এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিস্তারিত জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের উপপরিচালক (অপারেশন) রেজাউল হকের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, এই সময়ে আন্তনগর ট্রেনে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। তবে শুধু ঈদের দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।আদেশে বলা হয়েছে, ২০ জুলাই ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রুটে একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, রংপুর-ঢাকা রুটের রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল বন্ধ থাকবে। ২২ জুলাই ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রুটে একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস এবং রংপুর-ঢাকা রুটের রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর চলাচল বন্ধ থাকবে।ভ্রমণের দিনসহ পাঁচ দিন আগে আন্তনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। শিথিলের সময়কালে আন্তনগর ট্রেনে সব স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আর রাতের ট্রেনে বেডিং সেবায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারের জারি করা সব বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস, বিস্কিট ইত্যাদি) সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে।এইচওআর, রেলওয়ে পাস এবং মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকিট আগের মতো ইস্যু করার ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি রেলওয়ের কর্মচারীদের জন্য দুই শতাংশ টিকিট সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এসব টিকিট ভ্রমণের ২৪ ঘণ্টা আগে সংরক্ষণ করতে হবে। তাদের টিকিট অবশ্যই কাউন্টার থেকে ইস্যু করা হবে।