বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৯:৫৫

ঘোড়াঘাট উপজেলার বলবাড়ী মৌজার বলবাড়ী বাজারের ৮৮১ দাগের ১৪ শতক ও ৮৯০ দাগের ৪৯ শতক সরকারি সম্পত্তি আট বছর ধরে দখলে রেখেছেন মোজাম্মেল হক।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। দখল ওই সম্পত্তিতে তিনি গড়ে তুলেছেন গরু ও ছাগলের খামার। সম্প্রতি সেই জমির দুটি গাছ বিক্রির চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এতে বাদ সাধেন।

অভিযোগ ওঠা ওই ব্যক্তির নাম মোজাম্মেল হক। ৫২ বছরের মোজাম্মেল হক বলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলার বলবাড়ী মৌজার বলবাড়ী বাজারের ৮৮১ দাগের ১৪ শতক জমি ও ৮৯০ দাগের ৪৯ শতক জমির ওপর একটি সরকারি কোয়ার্টার আট বছর ধরে দখলে রেখেছেন মোজাম্মেল হক।

দখলের পর সেখানে গড়ে তুলেছেন গরু ও ছাগলের খামার। ৪৯ শতকের ওপর সরকারি কোয়ার্টারটি মাঠ পর্চা অনুযায়ী ঘোড়াঘাট উপজেলার উপ-কৃষি কর্মকর্তার নামে।

১ মাস আগে ওই সম্পত্তিতে থাকা দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ অর্ধেক কেটে রাখেন মোজাম্মেল। এতে বলবাড়ী বাজারে চলাচল করা জনগণকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

সম্প্রতি গাছ দুটি কেটে ফেলেন। বিষয়টি হাট ইজারাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মন্ডল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলমকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ দুটি জব্দ করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোজাম্মেল হক গত সোমবার ঘোড়াঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে শাহিন মন্ডলের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ আনা হয়। এ সময় ওই সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করেন মোজাম্মেল।

গত মঙ্গলবার বিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শাহিন মন্ডল। বুলাকীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যালয়ের ওই সংবাদ সম্মেলনে শাহিন মন্ডল বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টায় বাধা দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন মোজাম্মেল হক। দীর্ঘদিন সরকারি সম্পত্তি দখল করে আছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দখলে রেখেছেন মোজাম্মেল হক। তিনি নিজেকে ওই জমির মালিক বলে পরিচয় দেন। তদন্ত করে জানতে পেরেছি, ওই জমি কৃষি অফিসের। সম্প্রতি ওই জমির দুটি গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টা করেন মোজাম্মেল হক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ দুটি জব্দ করি। সে সঙ্গে মোজাম্মেল হককে ওই জমির দলিল দেখাতে বলি। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর