লকডাউন শিথিল হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশেই স্বাভাবিক হবে বাস, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল। সেই লক্ষ্যে বেশ প্রস্তুতি দেখা গেছে বাসশ্রমিক ও ওয়ার্কশপে কর্মরতদের মধ্যে।
বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে বুধবার দুপুরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কেউ রং করছেন, কেউবা আবার অনেক দিন অচল থাকা বাসের ইঞ্জিন চালু করে রেখেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যাতে চলতি পথে কোনো সমস্যা না হয়।
ঝিনুক পরিবহনের মালিক ও বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সম্পাদক অমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘লকডাউন শুরুর পর থেকে বাসগুলো তো আর চালু করা হয়নি। দীর্ঘদিন একটা ইঞ্জিন চালু না থাকলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সে জন্য প্রায় সব বাসের চালকরা এসে বাসগুলো চালু করে কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে রঙের কাজও করিয়েছেন।’
বাসে রঙের কাজ করছেন এক শ্রমিক
আব্দুল্লাহ নামে এক পরিবহনশ্রমিক বলেন, ‘বাস তো বৃহস্পতিবার হইতে চলবে। এর জন্য বাসের টায়ারটা পাল্টাইতেছি। পিছনের দুইটা পাল্টাইছি আর ওই টুকটাক কামকাইজ করছি। মাঝপথে গাড়ি বইয়া পড়লে তো ডিস্টার্ব।’
জিসান পরিবহনের স্টাফ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গাড়ি অনেক দিন তো পইড়া ছিল। তাই কিছু কাজ করাইতেছি ভিতরের। সিটগুলা ঝাড়াইছি, রোদ্দুরে দিছি।’
নথুল্লাবাদের যন্ত্রাংশের দোকান ঝিনুক মোটরসের সবুজ দাস বলেন, লকডাউন শিথিলের খবরে বাস মেরামত করছে সবাই। এ কারণে মঙ্গলবার থেকেই পার্টসের বিক্রি বেড়েছে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ‘বাস চলাচল চালু হবে। আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যারা গাড়ি চালাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।’