ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর মাঝামাঝি অবস্থিত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর সংস্কার কাজ চলায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যান চলাচল। এতে বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে যানজট।
এই পথের যানবাহনগুলো বিকল্প পথ দিয়ে চলাচলে চেষ্টা করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক নাজমুল ইসলাম বলেন, নারায়নগঞ্জের লাঙ্গলবন্ধ সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর ডেক স্ল্যাব মেরামত করা হচ্ছে। এ কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- কুমিল্লা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহন সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রী ভোগান্তি তেমন নেই। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কে ছোট যানবাহন বিশেষ করে প্রাইভেটকার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরা যানজটে পরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
তিনি জানান, মেরাতম কাজ চলায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে লাঙ্গলবন্ধ সেতুর একপাশ দিয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় সড়ক বিভাগ থেকে বিকল্প পথ হিসেবে হালকা যানবাহনগুলোকে মোগড়াপাড়া-কাইকারটেক ব্রিজ-নবীগঞ্জ-মদনপুর সড়ক এবং ভারী যানবাহনগুলোকে কাঁচপুর- ভুলতা- নরসিংদী- ভৈরব ব্রিজ- সরাইল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- কুমিল্লা মহাসড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
যানজটে আটকা পড়া ট্রাকচালক তোফায়েল রহমান বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাব। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ব্রিজে কাজ চলার কারণে সেই সড়কটি বন্ধ রয়েছে। ফলে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সড়ক দিয়ে এসেছি... সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে যানজটে পরেছিলাম। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ পার হয়েছি। কখন যে চট্টগ্রামে পৌঁছাব তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।’
কার্গো ভ্যাসেলের (১২ চাকার ট্রাক) চালক ইদ্রিস বলেন, ‘বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কটি অনেকটা সংকোচিত। সরকারের এ নিয়ে ভাবা উচিত। সড়কটি প্রশস্ত হলে আমাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পরে থাকতে হতো না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, বুধবার বিকেলে পর ব্রিজের মেরামত কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।