চরানোর জন্য বিকেলে ছাগল নিয়ে মাঠে গেছিলেন আতিকা খাতুন। সন্ধ্যার দিকে ছাগলগুলো বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু ফিরেনি আতিকা। সন্ধ্যা পর্যন্ত না ফেরায় বাড়ির লোকজন মাঠে গিয়ে তাকে খোঁজাখোঁজি করে।
এক পর্যায়ে পাটের জমিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটা রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামে। আতিকা খাতুন ওই গ্রামের মৃত আতাহার আলীর স্ত্রী। আতিকা চার সন্তানের জননী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে থাকতেন আতিকা। মঙ্গলবার বিকেলে ছাগল নিয়ে মাঠে যান তিনি। এর পর তিনি আর বাড়ি ফেরেন নি। সন্ধ্যার দিকে ছাগলগুলো বাড়ি চলে আসলেও আতিকা না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
রাতে এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পাটের জমিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পুঠিয়া থানা পুলিশ গিয়ে রাত ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, আতিকার গলা ছাড়াও তার বাম হাতের কব্জিতে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।