বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খামারিদের প্রণোদনায় ‘ভাগ বসাচ্ছেন’ মাঠকর্মীরা

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ০১:৪৫

অভিযোগ, যে সব খামারি মাঠকর্মীদের প্রণোদনার একটি অংশ দিতে রাজি হয়েছে শুধু তাদেরকেই টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঘুষের বিনিময়ে গবাদি পশু নেই এমন ব্যক্তিকেও প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনার টাকা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ, যে সব খামারি মাঠকর্মীদের প্রণোদনার একটি অংশ দিতে রাজি হয়েছে শুধু তাদেরকেই টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঘুষের বিনিময়ে গবাদি পশু নেই এমন ব্যক্তিকেও প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কতজন খামারিকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তার সুর্নিদিষ্ট কোনো তথ্য অবশ্য দিতে পারেননি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কেও কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। তবে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় গরু ও মুরগি খামারিদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এর আওতায় বিভিন্ন বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা ১০ হাজার, ১৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৮০০ টাকা পাচ্ছেন।

খামারিদের অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে প্রণোদনার তালিকায় একই পরিবারের দুই থেকে তিনজনের নামও দেয়া হয়েছে। গবাদি পশু নেই এমনও ব্যক্তিদেরও টাকা দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ধনবাড়ি, কালিহাতী, মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলায়।

কালিহাতী উপজেলার আকুয়া গ্রামের সুমি বেগম বলেন, ‘আমি গরু লালন-পালন করি। বেশ কয়েক মাস আগে রুবেল আর মারুফ (সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগমের ছেলে) আসে আমার নামের লিস্ট নেয়ার জন্য।

‘পরে আমাকে বলে যে, ১৫ হাজার টাকা পাবেন। সেখান থেকে ছয় হাজার টাকা অফিস খরচ দিতে হবে। পরে যখন টাকা পেলাম রুবেল ও মারুফ এসে ছয় হাজার টাকা নিয়ে গেছে।’

একই এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে রুবেল ও মারুফ চার হাজার টাকা দাবি করে। আমি বলি সরকার আমাকে টাকা দিছে, আমি কোনো প্রকার টাকা দিতে পারব না। পরে রুবেল ও মারুফ আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।’

নারান্দিয়া ইউনিয়নের মিজানুর রহমান জানান, তার মুরগির খামার আছে। প্রণোদনা হিসেবে তিনি ২২ হাজার ৫০০ টাকা পান। তবে তার এলাকার মাঠ কর্মকর্তা মামুনকে তা থেকে ছয় হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ছেলে মারুফ আর রুবেল তালিকা করেছে। তিনি অসুস্থ থাকায় ছেলেরা এ তালিকা করে।

দশকিয়া ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন মিয়া বলেন, ‘আমি এ রকম কাজ করি নাই। তবে কিছু জায়গায় এমনটা হয়েছে, আমি সকলের টাকা ফেরত দিব।’

এ কথা বলেই তিনি চলে যান।

নারান্দিয়া ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মামুন মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি কোনো প্রকার টাকা নেয়নি। আমি এ ধরনের কাজ করতেই পারি না। মিথ্যা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রথম ধাপে কোনো অনিয়ম হয়নি এটা জোর দিয়ে বলতে পারি।

‘দ্বিতীয় ধাপে কিছু অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। যতটুকু জানতে পেরেছি, জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমার উপরের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর