নীলফামারীতে নিজ বুদ্ধিতে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরী হাবিবা আকতারকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন নীলফামারী-০২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার।
টুপামারী ইউনিয়নের ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তারা পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে টুপামারী ইউনিয়নের নিত্যানন্দি দোকানী পাড়ায় কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।
ওয়াদুদ রহমান জানান, হাবিবাদের অভাব অনটনের সংসার। তারপরও অদম্য স্পৃহা রয়েছে তার পড়াশোনার ব্যাপারে। সোমবার রাতে তার বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে নিজেকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছে সে।
তিনি বলেন, ‘মেয়েটির যাতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য এমপি, ডিসি ও ইউএনও পাশে থাকবেন এবং খরচ বহন করবেন। এটি আমি হাবিবা ও তার পরিবারকে জানিয়েছি।’
গত সোমবার রাতে হাবিবার বিয়ে ঠিক করেন তার মা-বাবা। বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচতে ইউএনওর সরকারি মোবাইল নম্বরে বার্তা পাঠায় সে।
ইউএনও জেসমিন নাহার জানান, তার সরকারি মোবাইল নম্বরে ওই কিশোরী সোমবার দুপুরের আগে একটি বার্তা পাঠায়। সেখানে নিজের পরিচয় দিয়ে সে লেখে, ‘আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি, আমি এখন বিয়ে করতে চাই না।
‘আমার বাবা-মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিবে আজ রাতে। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার জীবনটাকে রক্ষা করুন। হাতজোড় করছি।’
বার্তা পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনও ওই কিশোরী ও তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিবাহের কুফল এবং শাস্তির বিষয়টি জানান। প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে দেবে না মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিও নেন।