মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু এলাকা থেকে এক ভারতীয় নারীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ভারতের ১২ জন নাগরিককে আটক করল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
৪০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম গৌরী। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের মোজাফরপুর জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে তাকে শিবচর থানার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাবু মোল্যার কান্দি গ্রামের পদ্মা বহুমুখী সেতুর এসএথ্রির সামনে রাস্তার ওপর থেকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে শিবচর থানা।
শিবচর থানার উপপরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার, অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের সীমানা এলাকায় সন্দেহভাজন ওই নারী ঘোরাফেরা করলে সেনাবাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার ভাষা এবং চালচলন সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘শিবচর থানায় খবর দিলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হিন্দিতে কথা বলেন। ভারতীয় নাগরিক ওই নারী বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।’
ওসি জানান, আটক নারীর বিরুদ্ধে থানায় ১৯৫২ সালের বাংলাদেশ কন্ট্রোল অফ এন্ট্রি অ্যাক্ট আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে অভিযোগপত্র দাখিল করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত গত ১৭ মাসে ১১ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। অনুপ্রবেশের অভিযোগে করা মামলায় তারা এখন কারাবন্দি।
আচরণ ও বেশভূষা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আটক করা হয়। একের পর এক এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে; বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাদের বেশভূষায় পাগল মনে হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেশির ভাগকেই পাগল মনে হয়নি। কারণ তাদের বেশির ভাগই নিজের দেশ, বাড়ি, জেলা ও গ্রামের নাম পর্যন্ত বলতে পারছেন। শুধু তা-ই নয়, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামও বলেছেন। তবে এই ১১ জনের মধ্যে চারজনের কাছ থেকে কোনোভাবেই কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। এ কারণে এই চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই আদালতে পাঠানো হয়।
কোনো বক্তব্য নেই ভারতীয় হাইকমিশনের
নিউজবাংলার পক্ষ থেকে ১১ ভারতীয় নাগরিকের আটক হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা দেবব্রত দাশের কাছে বক্তব্য চাওয়া হয়েছিল।
জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’