সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে লাঞ্ছনার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এজাজুল ইসলাম।
লাঞ্ছনার অভিযোগ করা চিকিৎসক হলেন আবু জাহিদ মাহমুদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ওই যুবক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এখানে এসে তার ভাই অসুস্থ বলে আমাকে তার সঙ্গে বাড়ি যেতে বলে। আমি তাকে বলি জরুরি বিভাগ ছেড়ে আমি যেতে পারবো না।
‘সে আমাকে জোরাজুরি করে, যেন আমি তাকে ওষুধ লিখে দেই। এক পর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে লিখে দেই... সে আবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার রোগীকে নিয়ে আসে। তার রোগীকেই আমি চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। এক সময় সে আমাকে চড় মারে আর প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমকে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের নাম মিজানুর রহমান। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা। গেল বছর ডিসেম্বরে তিনি এই হাসপাতালেরই এক নার্সকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সালিশে এর মিমাংসা হয়।
সদর হাসপাতালের উপপরিচালক আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, চিকিৎসক আবু জাহিদ এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সুনামগঞ্জ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত দাশ বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। ওই বখাটে যুবকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।
‘আমি শুনেছি এই ছেলেটা আগেও আমাদের নার্সকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি দাবি জানাই।’
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। এখানে আমাদের নিরাপত্তা না দিলে কোনো চিকিৎসকই এখানে থাকবে না।’
সদর মডেল থানার এসআই এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে আমাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা পেলেই আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’