‘কিছুদিন আগে সি-অফিস মোড়ে এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই হয়। আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা ছিনতাইকারীকে খুলনা থেকে আটক করি’- কথাগুলো বলছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।
তিনি আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা বসানো পরে আমরা বেশকিছু সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। শহরের ভয়েস স্কুল মাঠের পাশে দোকানে চুরির ঘটনায় চোরকে শনাক্ত করি ফুটেজ দেখে। সিসি ক্যামেরা বসানো ফলে শহরের ছোট-বড় কোনো অপরাধী অপরাধ করে পার পাচ্ছে না।’
পিরোজপুরে পৌর এলাকা পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য দেড় শ সিসিটিভি লাগিয়েছে জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ বছরের জানুয়ারি মাসে সিসিটিভি স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল জেলা পুলিশ। বাজার, বাসস্ট্যান্ড, বিভিন্ন ধর্মীয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে ক্যামেরাগুলো। এক মাস ধরে একটি কক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করছে জেলা পুলিশের টেকনিক্যাল টিম।
আর এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যাসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
পৌর এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. আব্বাস জানান, এ উদ্যোগের ফলে অপরাধীদের চিহ্নিত করা পুলিশের জন্যও সহজ হবে অনেকটা। ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা আল-আমিন জানান, সিসিটিভির কারণে শহরে উঠতি বয়সের ছেলেদের আড্ডাবাজি কিছুটা হলেও কমবে। পুলিশের এই উদ্যোগে শহরবাসী বেশ খুশি।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় কোথাও কিছু ঘটলে তা অনুসন্ধানে পুলিশকে অনেক সমস্যা পোহাতে হতো। তবে সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।’
শুধু পৌর এলাকায় নয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যায়ক্রমে জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।