চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরীকে মারধরের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সুমন নাছির।
মারধরের শিকার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে পরে বুকও মেলান এই নেতা।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা হয়।
মীমাংসার বিষয়ে শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার আর কোনো অভিযোগ নাই। সন্ধ্যায় সব মীমাংসা হয়ে গেছে। সুমন আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছে। সে বলেছে সে আমাকে চিনতে পারেনি, তার ভুল হয়েছে।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তারাও ছাত্রলীগ করে। ছাত্রদের সঙ্গে কর্মচারীদের সব সময় সুসম্পর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘যেহেতু একটা সমস্যা হয়েছে আমি ও আমার সংগঠনের সভাপতি সেখানে গিয়েছি। পারিবারিকভাবে সমাধান হয়ে গেছে এটা। যারা জড়িত ছিল দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, পারিবারিকভাবে তারা সমাধানে গিয়েছে। আশা করছি, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে সুমন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা সেখানে গিয়ে গেট খুলে দিতে বলে। কর্তব্যরত নিরাপত্তাপ্রহরী শাহাদাত তা খুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও তাকে মারধর করেন তারা।