নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় আগুনের ঘটনায় বিভিন্ন আলামত, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তিনটি তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ৫২ শ্রমিকের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসন।
স্থানীয়রা বলছেন, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু-কিশোর।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরকে নিয়ে আলাদা ভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম ব্যাপারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করছি। এখানে যেসব বিষয়ে জানা যাচ্ছে সেটি রেকর্ড করা হচ্ছে। যারা যারা ওই দিন এখানে দায়িত্বরত ছিলেন তাদের বক্তব্য নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ থেকে শুরু করে অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছি।
তদন্তের কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’
পুড়ে যাওয়া কারখানার অভ্যন্তর ঘুরে দেখছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলাএর আগে কলকারখানা পরিদর্শক অধিদপ্তরের ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা কারখানার ভেতরের প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে তদন্ত করেন। পরে ঘটনার সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন তারা।
কলকারখানা পরিদর্শক অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রধান জয়েন্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল (সেফটি) ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘মেকানিক্যাল, ফায়ার ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ভেতরের প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে তদন্ত করেছেন। এখানে কী ব্যবস্থা ছিল আর কী ছিল না আমাদের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।’
আগুনে ঘটনার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে আরেক সংস্থা ফায়ার সার্ভিস। ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রমিকদের জন্য কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কারখানা ঘুরে দেখছে তদন্ত দল। ছবি: নিউজবাংলাফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভবনের আগুন লাগলে শ্রমিকদের জন্য কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল সেটিসহ সেখানে কী কী ঘটেছিল, কী ধরনের দাহ্যবস্তু ছিল এই বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করছি। ঘটনার সময় যারা ছিলেন তাদের সাক্ষ্যও নেয়া হচ্ছে।’