গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌতুক না পেয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে জামাতার নামে মামলা করেছেন এক নারীর বাবা।
টঙ্গী পূর্ব থানায় তিনজনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যায় মামলা করেন আজিজুল হক নামের ওই ব্যক্তি।
মামলার আসামিরা হলেন রাজিয়া খাতুন নামের ওই নারীর স্বামী জুয়েল মিয়া, শ্বশুর তোতা মিয়া ও ননদ রোজিনা আক্তার। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার খন্ডল গ্রামে।
মামলার বরাত দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ নিউজবাংলাকে জানান, তিন বছর আগে জুয়েলের সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলার ভুগলি গ্রামের রাজিয়ার বিয়ে হয়। তারা পরিবারসহ থাকতেন টঙ্গীর পাগাড় আলেরটেক এলাকায়।
বিয়ের পর থেকেই জুয়েল যৌতুকের জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন। গত ১ জুলাই তিনি রাজিয়ার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জুয়েল মারধর শুরু করেন।
পরে মধ্যরাতে রাজিয়ার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। রাজিয়ার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর তার ননদ তার বাবাকে ফোন জানায় রাজিয়া আগুনে পুড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার নয় দিন পর গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাজিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
ওসি জাবেদ মাসুদ আরও জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।