বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌর এলাকায় এক গৃহবধূকে স্বামীর সামনেই বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ তার স্বামীর কল পেয়ে পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় রোববার রাতে শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বামী। অভিযোগ, শনিবার বিকেলে ওই নারীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার চকভোলাখাঁ গ্রামের গাজিউল, তার স্ত্রী রশিদা, ছেলে নুরনবী, একই গ্রামের সাহেব আলী ও তার স্ত্রী ইন্দিরা বেগম এবং পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের শিমা বেগম।
ওই নারীর স্বামী জানান, ‘আমার স্ত্রীকে যখন মারধর করা হয়, তখন আমি দোকানে ছিলাম। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গাজীউলের বাড়িতে যাই।
‘কিন্তু আমার একার পক্ষে স্ত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। আমার সামনেই তাকে মারধর করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। কোনো উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করি। পরে পুলিশ এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে।’
তিনি অভিযোগ করেন, মারধরের সময় তার স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কারও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে হাসপাতালে গেলে ওই নারী বলেন, ‘পূর্ব শক্রতার জেরে আমাকে মারধর করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’