নীলফামারী সদর উপজেলায় নিজের বুদ্ধিমত্তায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী।
হাবিবা আকতার নামে ওই ছাত্রীর সোমবার রাতে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। নিজেকে রক্ষা করতে দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহারের মোবাইল নম্বরে বার্তা পাঠায় ওই কিশোরী। পরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় সে।
উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দি দোকানি পাড়ার সুলতান আলীর মেয়ে হাবিবা। সে রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তি জানান, ইটাখোলা ইউনিয়নের এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ইউএনও জানতে পেরে তাকে জানান। পরে দুপুর ১২টার দিকে তারা দুজন সেখানে যান।
ইউএনও জেসমিন নাহার জানান, তার সরকারি মোবাইল নম্বরে ওই কিশোরী দুপুরের আগে একটি বার্তা পাঠায়। সেখানে নিজের পরিচয় দিয়ে সে লেখে, ‘আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি, আমি এখন বিয়ে করতে চাই না।
‘আমার বাবা-মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিবে আজ রাতে। আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমার জীবনটাকে রক্ষা করুন। হাতজোড় করছি।’
বার্তা পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘সেখানে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিয়ের কুফল এবং শাস্তির বিষয়টি জানানো হয়। পরে অভিভাবকরা প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে দেবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।’