বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিতু হত্যা: পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২১ ১৯:৩৭

‘মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মিতু হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দেশত্যাগে তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আদালতের আদেশ দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ আদেশ দেয়।

পলাতক তিন আসামি হলেন- মিতু হত্যায় মূল অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের সোর্স কামরুল শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা এবং মো. কালু।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মিতু হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দেশত্যাগে তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আদালতের আদেশ দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘মিতুকে হত্যার পর থেকে কামরুল শিকদার ওরফে মুছা পলাতক। কালুও ঘটনার পর থেকে পলাতক। ভোলা জামিনে বের হয়ে পলাতক আছেন। এ জন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুল আকতারকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়।

গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

এদিন দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন বাবুল আকতার।

এ বিভাগের আরো খবর