ঢাকার সাভারে আট বছরের শিশুকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই ব্যক্তি।
সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকা থেকে রোববার রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরদিন সোমবার তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নাজমুল হোসেন। পোশাকশ্রমিক নাজমুলের বয়স ২৪ বছর। তার বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার মকরোমপুর এলাকায়। সাভারে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
নিহত শিশুর নাম রাজিয়া সুলতানা। আট বছরের রাজিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর থানার হুলাশু গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে। সাভারে ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সে।
পুলিশ জানায়, নাজমুল নিহত রাজিয়ার খালু। সাভারে একই এলাকায় বাস করতেন তারা। কয়েক মাস আগে এক জোড়া কানের দুল বন্ধক রেখে টাকা নিয়েছিলেন রাজিয়ার পোশাকশ্রমিক বাবা। সে দুল তুলতে ভগ্নিপতি নাজমুলের কাছে টাকা জমাতে শুরু করেছিলেন রাজিয়ার মা।
গত শুক্রবার নাজমুলের কাছে জমা হওয়া ২৬ হাজার টাকা ফেরত চান শিশুটির মা। তখন নাজমুল ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করে ফেলার কথা জানালে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
সে ক্ষোভ থেকে রাজিয়াকে শুক্রবার সন্ধ্যায় অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বিলে ফেলে আসেন নাজমুল।
রাজিয়াকে না পেয়ে পরদিন শনিবার সাভার মডেল থানায় ডায়েরি করে তার পরিবার। পুলিশ রোববার রাতে রাজিয়ার খালু নাজমুলকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে।
পরে তিনি রাজিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যে একটি বিল থেকে সোমবার ভোরে রাজিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হেমায়েতপুর ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, সামান্য কিছু টাকার জন্য পারিবারিক বিবাদ থেকে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের খালু গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।