ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে ডাকাতরা ট্রলারের মালামাল লুট করে পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান অপহৃতরা।
অপহৃত জেলেদের আড়ৎদার সূত্রে জানা যায়, শশীগঞ্জ স্লুইজঘাট এলাকার হারুন মাঝি, রুবেল মাঝি, শরীফ মাঝি, মাকসুদ মাঝি, নকিব মাঝি ও সফু মাঝি রোববার রাতে মেঘনায় মাছ শিকারের জন্য জাল ফেলে। গভীর রাতে তাদের ৬টি ট্রলারে হামলা চালায় ডাকাতরা।
এ সময় জাল, মাছ, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও সোলারের পাশাপাশি ৫ জেলেকে অপহরণ করে তারা।
পরে অপহৃত জেলেদের মোবাইল দিয়ে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করা হয়। সোমবার ভোরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মির্জাকালু স্লুইজঘাটের দক্ষিণ পাশে ৫ জেলেকে নামিয়ে দেয় জলদস্যুরা।
অপহৃত ৫ জেলে হলেন, মাকসুদ মাঝি, হারুন মাঝি, নকিব মাঝি, সফু মাঝি ও রুবেল মাঝি।
আড়ৎদার আলমগীর দর্জি জানান, ঈদ সামনে রেখে নদীতে ডাকাতি বেড়ে যায়। এ কারণে জেলে ও আড়ৎদারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
ঈদ পর্যন্ত মেঘনায় মাছ ধরা অবাধ করতে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান আলমগীর দর্জি।
তজুমদ্দিনে কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো: সুলতান জানান, মেঘনায় নিয়মিত পেট্টোল ডিউটি করি। গভীর রাতে ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা শুনে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।