চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুমন নাছির ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে নিরাপত্তাপ্রহরী শাহাদাত হোসেনকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা, চলমান লকডাউনে ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট বন্ধ আছে। সন্ধ্যায় সুমন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা সেখানে গিয়ে গেট খুলে দিতে বলে। কর্তব্যরত নিরাপত্তাপ্রহরী শাহাদাত তা খুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় ও তাকে মারধর করেন তারা।
ভুক্তভোগী নিরাপত্তাপ্রহরী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গেটের চাবি কর্তৃপক্ষের কাছে। ২ নং গেটে তারা বাইক নিয়ে এসে আমাকে গেট খুলে দিতে বলে। আমার কাছে চাবি চাইলে আমি চাবি দিচ্ছি না কেন এই কারণে আমার সাথে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
‘একপর্যায়ে সুমন ও তার সাথে থাকা ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমাকে কিল-ঘুষি মারে ও গালাগালি করে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সুমন নাছির উল্টো অভিযোগ দিয়ে বলেন, ‘ওই কর্মচারী আমার কর্মীকে মারধর করেছে। আমার কর্মী সাদাফ খান তার কাছে চাবি চাইলে তিনি বলেন চাবি ভিসির কাছে।
‘ফেরত আসার সময় উল্টো খারাপ ভাষায় গালাগালি করেন। একপর্যায়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে তিনি সাদাফকে মাথায় ঘুষি মারেন।’
নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তাকে কোনো কিল-ঘুষি মারা হয়নি। তিনি উল্টো মারমুখী হয়েছেন আমাদের ওপর। আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়েছি। কোনো মারধর করিনি। তার মানসিক সমস্যা আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালের চিকিৎসক আতাউল গণি, ‘ভিকটিমের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে তাকে কয়েকটি মেডিক্যাল টেস্ট দেয়া হয়েছে। তাকে বাড়িতে এক দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে ‘
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টা জেনেছি। চাবি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমরা তদন্ত করে দোষী হলে ব্যবস্থা নিব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ রাখা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। আমাদের দায়িত্বরত প্রহরীর সাথে যে বা যারা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’