দ্বিতীয় দফায় সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ এবং নতুন করে মডার্নার ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।
রোববার সকালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সিনোফার্ম এবং মডার্না মিলে মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ টিকা চট্টগ্রামে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ফজলে রাব্বি।
এর মধ্যে মর্ডানার ২২ কার্টুন ও সিনোফার্মের ৯৮ কার্টুন ভ্যাকসিন রয়েছে। মর্ডানার প্রতি কার্টুনে ৪০০ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ করে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ ডোজ এবং সিনোফার্মের প্রতি কার্টুনে ৪০০ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ২ ডোজ করে মোট ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।
সিভিল সার্জন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আমেরিকার তৈরি মর্ডানার ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ ডোজ ও দ্বিতীয় বারের মতো চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি।’
তিনি জানান, আগে সর্বনিম্ন ৪০ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হলেও এবার ৩৫ বছর বয়সীরাই টিকা পাবে।
সিটি করপোরেশন এলাকায় মর্ডানার টিকা পেতে মোট ৯টি কেন্দ্রে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে-চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), মোস্তফা হাকিম ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, সাফা-মোতালেব ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, বন্দরটিলা ম্যাটারনিটি হাসপাতাল, বিএনএস পতেঙ্গা ও চট্টগ্রাম বিএএফ জহুর মেডিক্যাল স্কোয়াড্রন।
আগামী মঙ্গলবার থেকে মর্ডানার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে আশাবাদী সিভিল সার্জন। তার কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় প্রাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুব সাবধানতার সঙ্গে ওয়াক-ইন-কুলারে সংরক্ষণ করা রয়েছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি প্রথম দফায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ৪ লাখ ৫৬ হাজার, ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৬ হাজার এবং ১৮ জুন সিনোফার্মের তৈরি ৯১ হাজার দুইশ টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছে।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়।