মাদারীপুরের শিবচরে চুরির অভিযোগ মামলা করায় বাদী ও তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
শনিবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের মধু মৃধারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত ৪ জুলাই মধু মৃধারকান্দি গ্রামের ফায়েজউদ্দিন মুন্সীর ঘরে রাতে সিঁদ কেটে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়।
পালিয়ে যাবার সময় চোরকে দেখে ফেলেন ঘরের বৃদ্ধা মালেকা বেগম। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ৬ জুলাই ফায়েজউদ্দিনের স্ত্রী শান্তি বেগম একই এলাকার দোলোয়ার মৃধাসহ চারজনের নামে শিবচর থানায় মামলা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর দেলোয়ারের চাচা মাহাবুব মৃধা ও তার লোকজন হামলা চালায় পরিবারটির ওপর। এতে শান্তি বেগমসহ আহত হয় অন্তত পাঁচজন।
আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে শান্তি বেগম ও তার স্বামী ফায়েজউদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে পাঠানো হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।
এই ঘটনায় শান্তি বেগমের ভাই শহিদুল ইসলাম শনিবার রাতে আরেকটি মামলা করেন। এতে মাহবুব মৃধাকে প্রধান করে আসামি করা হয়েছে ৭ জনকে।
খবর পেয়ে ঘটনান্থল পরিদর্শন করে শিবচর থানা পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
মামলার বাদী শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, আসামি ও তার লোকজন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেম এমনকি হুমকিও দিচ্ছে।
সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল ব্যাপারি বলেন, ‘চুরির ঘটনাটি প্রথমে সালিস করে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা তাতে রাজি হয়নি। পরে মামলা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ফের হামলা চালায় আসামিপক্ষের লোকজন। এই ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।’
শিবচর থানার উপ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’