বেনাপোলের শার্শার জিরেনগাছা গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পর বড় ভাই, ভাবি ও ভাতিজিকে হেফাজতে নিয়েছে শার্শা থানা পুলিশ।
শনিবার ভোরে জসীম উদ্দিন নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানান তার ভাই। প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।
রোববার ভাই-ভাবি মিলে হত্যার গুঞ্জন ছড়ালে ঘটনাস্থলে যান নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বড় ভাই আব্দুর রউফ, ভাবি লিপি বেগম ও ১৪ বছরের ভাতিজিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
প্রতিবেশী রেবেকা বেগম জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। তবে তাদের বাড়ির চারপাশে প্রাচীর থাকায় কি ঘটেছিল বা কীভাবে জসিমের মৃত্যু হয়েছে তা তারা জানতে পারেননি।
অভিযুক্ত আব্দুর রউফের দাবি, জসিম ডায়বেটিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির আঙ্গিনায় বাঁশের গাদায় পড়ে জসিমের মুখে ক্ষত হয়। শনিবার সকালে ঘরের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেনি দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু মানুষ মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে।
তবে রউফের কিশোরী মেয়ে জানায়, তার বাবার সঙ্গে চাচার দুই দিন আগে বাড়ির জমি বিক্রি নিয়ে ঝগড়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, মরদেহ দাফনের আগে পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছিলেন। তবে এলাকায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় পুলিশ যায়নি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম জানান, জসিমের পরিবারের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি; ময়নাতদন্তও করা হয়নি।
রোববার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, ‘বিভিন্ন মারফতে শুনেছি, তাদের পরিবারে কিছু সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত নয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জসিমের বড় ভাই, ভাবি ও ভাতিজিকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।