বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উঠিয়ে দেয়ার পর ফের বসেছে পশুর হাট

  •    
  • ১১ জুলাই, ২০২১ ২০:৫৬

রোববার দুপুরে ওই পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পশু আসা শুরু হয়েছে। হাটে দেশি গরুর পাশাপাশি সীমান্ত পার হয়ে আসা ভারতীয় গরুও রয়েছে। বাজারেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবেড় বাজারে বৃহস্পতিবার বসানো হয়েছিল কোরবানির পশুর হাট। ওই দিন বিকেলেই অভিযান চালিয়ে হাটটি তুলে দেয়া হয়।

দুই দিন পর রোববার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফের বসানো হয়েছে হাট। করোনার স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না কেউ। মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছে মানুষ। হাটের ইজারাদার আকতারুজ্জামান মিরাশের মুখেও ছিল না মাস্ক।

এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযানের সময় হাটের ইজারাদারকে পাওয়া যায়নি বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদি উর রহিম জাদিদ। তিনি ওই সময় জানিয়েছিলেন, বাজার বসানোর কোনো অনুমতিই দেয়া হয়নি। তাদের না জানিয়েই হাট বসানো হয়েছে।

ইজারাদার মিরাশের দাবি অবশ্য হাট বসানোর জন্য গরু ব্যবসায়ীরা দায়ী। তিনি হাট বসাননি।

রোববার দুপুরে ওই পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পশু আসা শুরু হয়েছে। হাটে দেশি গরুর পাশাপাশি সীমান্ত পার হয়ে আসা ভারতীয় গরুও রয়েছে। বাজারেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

হাটের ইজারাদারের মুখেও নেই মাস্ক

হাটের ইজারাদার আকতারুজ্জামান মিরাশ মাস্ক না পরেই করছিলেন পশুর বেচাকেনা। তবে লকডাউনের মধ্যে হাট বসানো নিয়ে তার অভিযোগ, হাট বসানোর জন্য গরু ব্যবসায়ীরা দায়ী।

তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো গরু হাট বওয়াইছি না, ইতা গরুর যারা লইয়া আয় তারা বওয়াইছে, আমি ভাই মাত্র বাজারও আইছি।’

ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এখানো ভাই গরুর বাজার বইছে। করোনার লকডাউন সব জাগাত চললেও ইকানো নাই। প্রশাসন পরশু দিন আইয়া নিষেধ দিয়া গেছে, কিন্তু আপনে নিজেই দেখরা কী অবস্থা।’

এদিকে বাজারের ছবি ও ভিডিও করতে গেলে মিরাশের ছোট ভাই মিলন মিয়া এই প্রতিবেদককে বাধা দেন। সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি হাটের আশপাশে দেখলে হত্যার হুমকিও দেন।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘তারা আমাদের না জানিয়ে গরুর হাট বসিয়েছে। আমরা আবারও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। পুলিশকেও জানিয়ে দিচ্ছি। এখনও সরকার থেকে পশুর হাট বসানোর কোনো নির্দেশনা আসেনি।’

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পশুর হাট বসানো এখন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেউ বাজার বসালে এগুলো আমরা তুলে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর