নওগাঁর রানীনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন ও লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের মাধ্যমে রোববার বিকেলে মো. শিবলুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শিবলুর বাড়ি রানীনগর উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২০ মার্চ পারিবারিকভাবে আদমদীঘি উপজেলার অন্তাহার গ্রামের সাথী আক্তারের সঙ্গে শিবলুর বিয়ে হয়। বিয়েতে সাথীর বাবা শাহিন মণ্ডল জামাতাকে দেড় লাখ টাকা ও বেশ কিছু আসবাব দেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শিবলু আরও দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সাথীকে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না পেয়ে শুরু করেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এর মাঝে বেশ কয়েকবার স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানও করা হয়।
সাথীর অভিযোগ, গত ৩০ মে যৌতুকের জন্য শিবলু আবার তাকে মারধর করেন ও পেটে লাথি দেন। তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে সাথীর পরিবারের লোকজন এসে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায়, তার গর্ভের চার মাসের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে কোনো বিচার না পেয়ে ২৬ জুন সাথী তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরসহ ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগ করেন।
স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. শিবলু। ছবি: নিউজবাংলা
আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে রানীনগর থানাকে এজাহার হিসেবে নিতে বলে। শনিবার রাতে রানীনগর থানা আদালত থেকে পাঠানো অভিযোগপত্রটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার রাতেই শিবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে ওসি জানান, মামলার বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাথীর বাবা শাহিন মণ্ডল আসামিদের শাস্তি দাবি করে বলেন, ‘এমন খারাপ মানুষদের ঘরে মেয়েরে আর পাঠাব না। সেখানে আমার মেয়ের জীবনের কোনো মূল্য নাই।’