একদিকে করোনা মহামারি-বিধিনিষেধ, অন্যদিকে হাশেম ফুডসের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর ক্ষত। এসবের মধ্যেই রাত পোহানোর অপেক্ষা। সকালেই শুরু হবে কোপা-আমেরিকার ফাইনালের মহাযুদ্ধ।
রোববার সকালে মাঠে নামছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। শুরু হবে মহারণ। আর এদিকে দুই দেশের ভক্ত- সমর্থকরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উৎযাপনে নিয়েছেন প্রস্তুতি।
ব্রাজিল সমর্থক ওমর ফারুক। বাড়ী কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার শিমড়া গ্রামে। শনিবার দুপুরে ৫ হাজার টাকায় ২০টি হাঁস কিনেন। এসব হাঁস দিয়ে পার্টি দিবেন।
কারা থাকবে এই পার্টিতে এমন প্রশ্নে নিউজবাংলাকে ফারুক জানান, ‘আমি ছোটবেলা থেকে ব্রাজিলের সমর্থক। নেইমার আমার প্রিয় খেলোয়াড়। ব্রাজিল আমার প্রিয় দল। এছাড়াও ইউরো লীগে নেইমার যে ক্লাবে খেলে সেই ক্লাবের সাপোর্ট করি। তাই যারা ব্রাজিলের সাপোর্টার তারাই থাকবে পার্টিতে।’
ফারুক আরও জানান, যারা ব্রাজিল সাপোর্টার বিশেষ করে যারা এখন শিশু বা কিশোর কিন্তু ব্রাজিল সমর্থন করে তাদের অগ্রাধিকার বেশী।
ব্রাজিল সমর্থকদের এমন আয়োজনে পিছিয়ে নেই আর্জেন্টাইন ভক্তরাও। তারাও নানাভাবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনে প্রস্তুতি নিয়েছে।
দীন মোহাম্মদ আরিফ। আর্জেন্টিনার কট্টর সমর্থক। বাড়ী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদরে। একটি ব্র্যান্ডশপের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।
মোহাম্মদ আরিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৪ বছর পর আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের লড়াই হবে। আর আমার বিশ্বাস আর্জেন্টিনা জিতবে। এই সুন্দর সময়টাকে উদযাপন করতে আমি খিচুড়ি-পার্টির আয়োজন করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আসবে তাদের জন্য গরম গরম খিচুড়ির আয়োজন থাকবে।’
আর্জেন্টিনার সমর্থক দীন মোহাম্মদ আরিফ ফাইনাল উপলক্ষে খিচুড়ি-পার্টির আয়োজন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
তবে কোপা-আমেরিকার ফাইনাল খেলায় ব্যতিক্রম উদ্যোগও দেখা গেছে। বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ। তিনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। তার বন্ধু স্কুল শিক্ষক দেবরাজ ঘোষ ব্রাজিলের সমর্থক।
সালেহ আহমেদ তার ফেসবুকে দুই বন্ধুর ছবি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, আমার বন্ধু কট্টর ব্রাজিল সাপোর্টার। আমি আর্জেন্টিনার। তবে আমরা একসঙ্গে খেলা উপভোগ করব। আমাদের সঙ্গে অন্য বন্ধুরাও যোগ দিবেন। কারণ খেলা বিনোদনের অংশ। তাই আমরা বিনোদিত হতে চাই।