করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়।
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শনিবার জেলার পশুর সবচেয়ে বড় হাট নগরকুমারী হাট বসান ইজারাদার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আধা বেলা চলা এই হাটে ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় হাট বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে দূরদূরান্ত থেকে পশু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীসহ খামারিরা। মুহুর্তেই নগরকুমারী পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতায় হাজারো মানুষের ভিড় জমে যায়।
এ সময় হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটটিতে আগেরবারের তুলনায় গরুসহ অন্যান্য পশু বেশি উঠেছে। হাটে পাঁচ উপজেলা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জনসমাগম বেড়ে যায়।
সকাল থেকে সড়কের দুই পাশে নছিমন, পিকআপসহ অন্যান্য যানবাহন সারি সারি অপেক্ষায় রয়েছে। পরে প্রশাসনের নির্দেশের পর হুইসেল বাজিয়ে পশুর হাটে আগতদের সরিয়ে হাট বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
ইজারাদার আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিক্রেতারা গরু নিয়ে হাটে হাজির, ক্রেতারাও এসেছেন। বাধ্য হয়ে পশুর হাট চালু করেছি। তবে সরকারিভাবে লকডাউনে পশুর হাট বসানোর কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) সোলেমান আলী বলেন, ‘আমাদের অজান্তে প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে হাট বসিয়েছে। খবর পেয়ে পশুর হাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে ইজারাদারকে কোনো জরিমানা করা হয়নি।’
এদিকে পঞ্চগড়ে পৌরসভার রাজনগর হাটের ইজারাদার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পশুর হাটের কার্যক্রম শুরু করেন। পরে প্রশাসন হাট ভেঙে দেয় এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ইজারাদারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।