নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান সুজ ফ্যাক্টরিতে আগুনের ঘটনায় ভোলার পাঁচ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ পাঁচ শ্রমিক হলেন চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মো. মহিউদ্দিন, মজিবনগর ইউনিয়নের চর কলমী গ্রামের শামীম, আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের আমিনাবাদ গ্রামের হাসনাইন ও রাকিব এবং এওজাহপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নোমান।
নিখোঁজ হাসনাইনের বাবা ফজলু বলেন, ‘হাসনাইন কারিগর রাকিবের সহকারী হিসেবে চতুর্থ তলায় কাজ করত। দুর্ঘটনার দিনও তারা কারখানায় অবস্থান করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। সে বলেছিল ৬ দিন পরেই বাড়ি আসবে। আমি তাকে বলেছিলাম, লকডাউনের মধ্যে আসার দরকার নেই, তুমি তোমার মামার বাড়িতে থাক।’
নিখোঁজ মহিউদ্দিনের ভাই সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাই মহিউদ্দিন ও খালাতো ভাই শামীম পাঁচ বছর ধরে চট্টগ্রামের বনফুল ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। করোনার কারণে সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসে। সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত এক ব্যক্তির পরিচয় ধরে দেড় মাস আগে এই ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেয় তারা।
‘দুর্ঘটনার দিন তারা দুজন দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় কাজ করছিল। এদিন আমার ভাইকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমার দুই ভাই বেঁচে আছে না মারা গেছে, নিশ্চিত হতে পারছি না।’
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, 'এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নাম-ঠিকানা পেয়েছি। তারা সবাই চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা। তাদের এখনো সন্ধান মেলেনি। আমরা ঢাকায় সব সময় যোগাযোগ রাখছি।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে কারখানাটিতে আগুন লাগার পর শুরুতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পর দিন উদ্ধার করা হয় ৪৯ জনের মরদেহ। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। বেশির ভাগের মরদেহই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা চলছে।